পোস্টগুলি

কবিতা

শ্বশুর বাড়ির কুত্তাও সালাম পায় | তাজওয়ার মুনির

ছবি
আমাদের এলাকায় একটা জনশ্রুতি আছে "শ্বশুর বাড়ির কুত্তাও সালাম পায় "। অর্থাৎ এটা দ্বারা তারা বুঝাতে চেষ্টা করে শ্বশুর বাড়ির সকলকে (শ্বশুর, শাশুড়ী, সম্বন্ধী, শালা, গুড়া ল্যাদা শুদ্ধা) সালাম দেওয়া জামাই'র জন্য অঘোষিত ফরজ। এর কোন হেরফের ঘটলে জামাই তো আছেই তার গুষ্ঠিশুদ্ধা উদ্ধারের প্রাণপণ লড়াই চলতে থাকে। কোন কোন যায়গায় জামাইকে কিছু না বলতে পারলেও মেয়েকে ফাস্ট ওয়াশ ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে সামান্য কচলে দেয়। আর সেই সামান্য কচলানো বাড়তে বাড়তে রাস্তার শেষ প্রান্ত মানে জামাই'র উপর গিয়েই পড়ে। আমার কথা হচ্ছে, শুধু জামাই'র উপর কি সালাম দেওয়া ফরজ (তাদের আচরণে ফরজ ই মনে হয়) ? আরো কিছু লোকজন আছে, যারা সালামের উত্তর নেওয়ার জন্য মুখ হা করে থাকে। এই কাতারে কিছু মৌলানারাও আছে। তাদের ভাবসাব এরকম, মুই কি হনুরে! ছোটবেলার একটা ঘটনা বলি, খুব সম্ভবত প্রাথমিকের শেষ পর্যায়ে। মাদ্রাসায় পড়ি। যেহেতু মাদ্রাসায় পড়ি, সচারাচর অন্য ছাত্রদের চেয়ে একটু বেশিই সালাম দেওয়ার অভ্যাস ছিল। একদিন এলাকার বড় ভাই (খুব বেশি বড় না) দুজন মেয়েকে (কাজিন টাজিন হবে আরকি) নিয়ে খোশগল্প করতে করতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। ...

আব্দুল্লাহ আল মামুন এর কবিতা 'ইচ্ছে করে'

ছবি
ইচ্ছে করে আব্দুল্লাহ আল মামুন ইচ্ছে করে, নীল আকাশে মেঘের নায়ে চড়ি, ইচ্ছে করে, জীবনটাকে হীরের মত গড়ি। ইচ্ছে করে, ভোর বিহন পাখির মত ডাকি, ইচ্ছে করে, ভালো হয়ে সবার মাঝে থাকি।

বর্ণমালার কথা | তাজওয়ার মুনির

ছবি
বর্ণমালার কথা তাজওয়ার মুনির মাধবী ফুলের ঘ্রাণে ভেসে আসে বর্ণমালার কথা নেবুর থোকায় থোকায় দেখা মেলে শহীদের ইতিকথা। লাল শিমুল আর লাল কৃষ্ণচূড়া কথা বলে শহীদের বাংলা ভাষা ধ্বনিত হয় কণ্ঠে সুরেলা কোকিলের। রিক্ততা যত ঝেড়ে ফেলে মুছে পেয়েছি প্রাণের প্রাণনা সালাম শফিউর জীবন দিয়ে করে গেল মুক্তির সূচনা। রফিক জব্বার জীবন দিয়ে করে গেল তবে দেনা আরো কত শহীদের এই দেনা কোনদিন শোধ হবে না।

জাতীয় কবির জন্মদিনে কবি নবীন সাদিক এর কবিতা " ফিরে আসো নজরুল"

ছবি
ফিরে আসো নজরুল নবীন সাদিক কবি তাঁর কবিতার খাতাটাতা রেখে হায় নিঝঝুম নিরালায় চিরঘুম, সমাজের সবটায় অবিরল ক্রন্দন মানুষের দিন কাটে নির্ঘুম। দিকেদিকে হাহাকার শোষকের চোষানল শাসকের লাঠি চলে হরদম, জনতার পিঠলাল নিস্তারদাতা নাহি চোর-চাটা গুন্ডার সরগম। সমাজের ভাঁজে ভাঁজে যতসব শয়তান মানুষের বেশ ধরে ঠাঁই পায়, সাধারন ভুখা মুখে পায় না তো রুটি চাল বাবুসাব যতখুশি তাই পায়। ভোট ভাত অধিকার নাই আজ জনতার শাসকের হাতে সব দখলেই, জনগন চুপচাপ মুখবুজে সয়ে চলে প্রতিবাদহীন দেখি সকলেই। তুমি ছাড়া কে শেখায় মানুষের সংগ্রাম, মুক্তির ভাষা,পথ কে দেখায়? আরবার ফিরে আসো প্রিয় হে নজরুল গরীবের হক রাজা মেরে খায়।

নবীন সাদিকের কবিতা " বিরতি চলছে কবির কলমে"

ছবি
বিরতি চলছে কবির কলমে নবীন সাদিক কবিতায় কিছু লিখিস না রে মন তুই একটু নিজেকে শান্ত করে নে যতই কষ্ট হোক গায়ে মেখে নিন্দারকাঁটা চুপ করে সয়ে নে হুমকি-ধমকি আরো যতসব তোর কথার ওপরে ভারি নকশিকাঁথার ভার দিয়ে ঢেকে রাখ সময় হলে উদম করে দিবি উন্মুক্ত আকাশে বাতাসে বাতাসে তার ঢেলে দেয়া ঘ্রাণেই বলে যাবে আগে তুই কী বলতে চেয়েছিলি সময়ের সাথে সাথে তারে ডাকা কর্কশ কাকটিও ঠিক বুঝে যাবে তার স্বরের দুর্গন্ধ তোকে কতটা বিব্রত করেছিলো গর্তের আঁধারে থাকা ছুঁচো ইদুরটি ঠিকই বুঝবে সে ছিলো সংকীর্ণ দেয়ালে কোকিলও ঠিক বুঝে যাবে ক্ষণেক্ষণে তার পাল্টেছিলো স্বর ও সুর কি আর করবি মন কবিতার খাতাটিকে তুই নির্বাসনে পাঠা, না হয় বিদ্বেষী হাত খামচে নিতে পারে পাতাপাতা সব কবিতাগুচ্ছ আপাতত তুই বাইরে টানিয়ে দে "বিরতি চলছে কবির কলমে" অবুঝ,অপদের আত্মায় আসুক শান্তি ও স্বস্তি নতুবা ওদের ঘুম হারাম হয়ে যায় কর্মফল ভেবে।

আদনান মাহমুদ এর কবিতা " তুমি"

ছবি
তুমি আদনান মাহমুদ (ভবঘুরে)  অতলান্তের পরিশ্রান্তিতে তুমি এক কাঙ্ক্ষিত বিশ্রাম। সহস্র দুঃখবোধে তোমার দৃষ্টিতেই সুখকর অনুভব।  সমস্ত মলিনতায় অগনিত উজ্জলতা তুমি।  ফিরে আসবো আমি বারবার তোমারই কাছে।  তুমি থাকবে অমলিন এই হৃদয়ের মণিকোঠায়।  একমাত্র সত্য হয়ে থাকবে তুমি শুধুই যে তুমি।   তুমি প্রেরনা আমার নিদ্রা থেকে জেগে উঠবার।  অসীম সাহসী তুমি, ভালোলাগার একটাই মাকান।  আবেগ অনুভূতি আর কল্পনা পুরোটা জুড়ে একটাই তুমি।  ওই ঠোটদয়ে হাসি ফুটে তোমারই হাসি দেখে।  আমার  ভালোবাসার রাজ্যের সবটাই যেন তোমার দখলে।  হৃদয়ের পুরোটা দখল করার দুঃসাহসিকতা দেখাতে বলেছিল কে? এখন প্রতিমুহূর্তই যে তোমার কল্পনা স্মৃতি নিয়েই নিশ্বাস নিতে হয়!

নবীন সাদিকের কবিতা " অদ্ভুত আঁধারে"

ছবি
অদ্ভুত আঁধারে নবীন সাদিক স্বাধীনতা এখন অদ্ভুত আঁধারের দখলে হাবুডুবু খায় দীঘির পঁচা পানিতে অথবা গুটিসুটি মেরে ঘরের কোনায় লুকিয়ে সে ভয়ে জড়সড় থরথর কাঁপে তার ধমনি চোখেমুখে তার দুশ্চিন্তার গাঢ়ছাপ চারদিকে শুধু ভয়, ভয় আর ভয় অদৃশ্য কালো হাতে খোঁজে তার গলদেশ চেপে ধরবেই, সে হাতের এক শক্ত প্রতিজ্ঞা কোথায় দুঃসাহসী? ভেঙে দে না কালো হাত। নতুবা পথে, ঘাটে, ঘরে,বাইরে কোথায় পাবি স্বাধীনতা? কবেই বা খুলবে হাতে হাতে লেগে থাকা অবৈধ হ্যান্ডকাপ?