পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জাতীয় কবির জন্মদিনে কবি নবীন সাদিক এর কবিতা " ফিরে আসো নজরুল"

ছবি
ফিরে আসো নজরুল নবীন সাদিক কবি তাঁর কবিতার খাতাটাতা রেখে হায় নিঝঝুম নিরালায় চিরঘুম, সমাজের সবটায় অবিরল ক্রন্দন মানুষের দিন কাটে নির্ঘুম। দিকেদিকে হাহাকার শোষকের চোষানল শাসকের লাঠি চলে হরদম, জনতার পিঠলাল নিস্তারদাতা নাহি চোর-চাটা গুন্ডার সরগম। সমাজের ভাঁজে ভাঁজে যতসব শয়তান মানুষের বেশ ধরে ঠাঁই পায়, সাধারন ভুখা মুখে পায় না তো রুটি চাল বাবুসাব যতখুশি তাই পায়। ভোট ভাত অধিকার নাই আজ জনতার শাসকের হাতে সব দখলেই, জনগন চুপচাপ মুখবুজে সয়ে চলে প্রতিবাদহীন দেখি সকলেই। তুমি ছাড়া কে শেখায় মানুষের সংগ্রাম, মুক্তির ভাষা,পথ কে দেখায়? আরবার ফিরে আসো প্রিয় হে নজরুল গরীবের হক রাজা মেরে খায়।

নবীন সাদিকের কবিতা " বিরতি চলছে কবির কলমে"

ছবি
বিরতি চলছে কবির কলমে নবীন সাদিক কবিতায় কিছু লিখিস না রে মন তুই একটু নিজেকে শান্ত করে নে যতই কষ্ট হোক গায়ে মেখে নিন্দারকাঁটা চুপ করে সয়ে নে হুমকি-ধমকি আরো যতসব তোর কথার ওপরে ভারি নকশিকাঁথার ভার দিয়ে ঢেকে রাখ সময় হলে উদম করে দিবি উন্মুক্ত আকাশে বাতাসে বাতাসে তার ঢেলে দেয়া ঘ্রাণেই বলে যাবে আগে তুই কী বলতে চেয়েছিলি সময়ের সাথে সাথে তারে ডাকা কর্কশ কাকটিও ঠিক বুঝে যাবে তার স্বরের দুর্গন্ধ তোকে কতটা বিব্রত করেছিলো গর্তের আঁধারে থাকা ছুঁচো ইদুরটি ঠিকই বুঝবে সে ছিলো সংকীর্ণ দেয়ালে কোকিলও ঠিক বুঝে যাবে ক্ষণেক্ষণে তার পাল্টেছিলো স্বর ও সুর কি আর করবি মন কবিতার খাতাটিকে তুই নির্বাসনে পাঠা, না হয় বিদ্বেষী হাত খামচে নিতে পারে পাতাপাতা সব কবিতাগুচ্ছ আপাতত তুই বাইরে টানিয়ে দে "বিরতি চলছে কবির কলমে" অবুঝ,অপদের আত্মায় আসুক শান্তি ও স্বস্তি নতুবা ওদের ঘুম হারাম হয়ে যায় কর্মফল ভেবে।

আদনান মাহমুদ এর কবিতা " তুমি"

ছবি
তুমি আদনান মাহমুদ (ভবঘুরে)  অতলান্তের পরিশ্রান্তিতে তুমি এক কাঙ্ক্ষিত বিশ্রাম। সহস্র দুঃখবোধে তোমার দৃষ্টিতেই সুখকর অনুভব।  সমস্ত মলিনতায় অগনিত উজ্জলতা তুমি।  ফিরে আসবো আমি বারবার তোমারই কাছে।  তুমি থাকবে অমলিন এই হৃদয়ের মণিকোঠায়।  একমাত্র সত্য হয়ে থাকবে তুমি শুধুই যে তুমি।   তুমি প্রেরনা আমার নিদ্রা থেকে জেগে উঠবার।  অসীম সাহসী তুমি, ভালোলাগার একটাই মাকান।  আবেগ অনুভূতি আর কল্পনা পুরোটা জুড়ে একটাই তুমি।  ওই ঠোটদয়ে হাসি ফুটে তোমারই হাসি দেখে।  আমার  ভালোবাসার রাজ্যের সবটাই যেন তোমার দখলে।  হৃদয়ের পুরোটা দখল করার দুঃসাহসিকতা দেখাতে বলেছিল কে? এখন প্রতিমুহূর্তই যে তোমার কল্পনা স্মৃতি নিয়েই নিশ্বাস নিতে হয়!

নবীন সাদিকের কবিতা " অদ্ভুত আঁধারে"

ছবি
অদ্ভুত আঁধারে নবীন সাদিক স্বাধীনতা এখন অদ্ভুত আঁধারের দখলে হাবুডুবু খায় দীঘির পঁচা পানিতে অথবা গুটিসুটি মেরে ঘরের কোনায় লুকিয়ে সে ভয়ে জড়সড় থরথর কাঁপে তার ধমনি চোখেমুখে তার দুশ্চিন্তার গাঢ়ছাপ চারদিকে শুধু ভয়, ভয় আর ভয় অদৃশ্য কালো হাতে খোঁজে তার গলদেশ চেপে ধরবেই, সে হাতের এক শক্ত প্রতিজ্ঞা কোথায় দুঃসাহসী? ভেঙে দে না কালো হাত। নতুবা পথে, ঘাটে, ঘরে,বাইরে কোথায় পাবি স্বাধীনতা? কবেই বা খুলবে হাতে হাতে লেগে থাকা অবৈধ হ্যান্ডকাপ?

মালিহা ইফফাত স্বর্ণা'র কবিতা " জীবনের পরম পাওয়া"

ছবি
জীবনের পরম পাওয়া মালিহা ইফফাত স্বর্ণা  যখন ভীষণ একা অনুভব করি। তখন জীবনের পাতা গুলো উল্টে দেখি, কি পেলাম এ জীবনে? কিন্তু হায় জীবনের পাতা গুলো উল্টাতে উল্টাতে একেবারে শেষ পাতায় এসে পরেছি কিন্তু কোনো পাওনা তো নেই! শুধু আছে কিছু আপন জনদের হারানোর অসম্ভব বেদনা আর চোখের পানি। তখন জীবন কে প্রশ্ন করি, এই কি পেলাম জীবনে? জীবন হেসে উত্তর দিলো এটাই তো আসলে পরম পাওয়া। মালিহা ইফফাত স্বর্না রাধাকান্তপুর, নবাবগঞ্জ, ঢাকা।

এইচ এম মিরনের কবিতা " বন্ধুগুলি কই?"

ছবি
বন্ধুগুলি কই? এইচ এম মিরন হোসাইন পল্লী মায়ের আচঁল ছেড়ে            এলাম শহরে, কতজনকে করলাম আপন            অচীন শহরে। আমার মায়ের আচঁল সম            সোনার পল্লী ছেড়ে, বহুদূরে আছি আমি            পরকে আপন করে। মনে পরে পল্লী মায়ের            স্মৃতিগুলি অই, শেষ বিকেলে খেলার মাঠের                বন্ধুগুলি কই? গ্রীষ্মকালের ভর-দুপুরে              নদীর পাড়ের সেই, একইসাথে গোসল করার              বন্ধুগুলি কই? আজকে বড় একা আমি             নেইতো পাশে কেউ, এই শহরের বন্ধুগুলি               তারা কেবা কই? হঠাৎ করেই ঘুরতে যাওয়া               সবাই কিংবা কেউ,  চায়ের কাপে ভাগ বসানো           ...

জুলফিকার রাসেলের কবিতা " শীতের সকাল"

ছবি
শীতের সকাল জুলফিকার রাসেল চারদিকে ঘন কুয়াশা শিশিরের বিন্দু বিন্দু কণা, শান্ত হিম বাতাস শির শির অনুভূতি। দল বেধে আসে অতিথি পাখি। কুয়াশার চাদরে ঢাকা নদ আর নদী https://www.facebook.com/julfikarrasel1234.rasel.566556

বিক্ষিপ্ত পঙক্তি | তাজওয়ার মুনির

আজ বসন্ত চারদিকে গোচরিত হচ্ছে গাছে গাছে প্রস্ফুটিত পুষ্প জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমন। তবু তোমার দেখা মিলবে না?

তাজওয়ার মুনির এর কবিতা "মায়ের ভাষা"

ছবি
মায়ের ভাষা তাজওয়ার মুনির কোয়েল দোয়েল ময়না টিয়া সবার আছে গান, বাংলা আমার মায়ের ভাষা বাংলা আমার প্রান। গদ্য লেখার পত্রে আজি শুক্ষ্ম কারুকাজ, অক্ষরেরই ছন্দে ভাসে মায়ের মুখের সাজ। এই ভাষাতে কাব্য লিখি সকাল সন্ধ্যা রোজ, এই ভাষাতে নিত্য দিনই নেই সবারই খোজ। শফিক সালাম জীবন দিল বাংলা ভাষার তরে , তাদের অবদান বাঙালিরা স্মরবে জীবন ভরে। ফাগুন মাসের আগুন ঝরা দগদগে ঐ রক্ত, করলো উচু বিশ্ব মাঝে বাংলা ভাষা শক্ত।

তাজওয়ার মুনির এর "এক টুকরো গল্প"

ছবি
এক টুকরো গল্প তাজওয়ার মুনির মধ্যরাত। শুনশান নিরবতা। শীতের প্রকোপটাও বেশি। সবাই লেপ কাঁথা গায়ে জড়িয়ে গভীর ঘুমে নিমগ্ন। মাঝে মাঝে ঘুণ পোকার কাঠ কাটার শব্দ পাওয়া যায়। এমন সময় সফিকের মোবাইল টেবিল কাপানো শুরু করলো। ভাইব্রেশন করা ছিল, তাই কোন শব্দ বেরুতে পারলো না। কয়েকবার ফোন আসার পরে ঘুম জড়ানো চোখ ডলতে ডলতে ফোন রিসিভ করলো। "হ্যালো" বলতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসলো ঘুমিয়ে পরেছিস? রাত কত! ঘুমাবোনা? বলল সফিক। আচ্ছা ঠিক আছে। দরজাটা খোলা রাখ, আমি আসতেছি। ফোনটা ছিল সফিকের বন্ধু নাফিসের।এত রাতে ও ফোন দিল কেন, আর আমাদের বাড়িতেই বা আসবে কেন, এত শীতের মধ্যে? নিশ্চয়ই কোন বিপদে পড়েছে। কিন্তু কী এমন হলো? মনে মনে ভাবতে লাগলো সফিক। সফিক আর নাফিস দুই বন্ধু। বাড়ি একই এলাকায়। তবে দুজনের বাড়ির দূরত্ব কম করে হলেও দশ মিনিটের পথ। ইন্টারমিডিয়েট পড়াকালীন দুজনের পরিচয়। এর আগেও দেখা সাক্ষাত হয়েছে। কিন্তু ওরকম ভাবে কথা বার্তা হয়নি। ইন্টারমিডিয়েট পরিক্ষার সময় ঘনিষ্ঠ হয় খুব। এর মধ্যে প্রায় মিনিট বিশের মত হয়ে গেল কিন্তু ওর আসার নাম নেই। সফিকের চোখে ঘুমটা আবারো জেঁকে বসলো। কিছুক্ষণ পর দরজায় কড়া নাড়বার শব্দ পা...